বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতা অর্জনের ফলেই রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের এমডির মতো শীর্ষ পদে আসীন হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। জাতির পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা থেকে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম নিজ প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’।
বিষয়টি ২০১৭ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছিলেন তিনি। তাঁর ধারণার আদলে বর্তমানে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধু কর্নারের স্বপ্নদ্রষ্টা মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম এ সম্পর্কে রচনা করেছেন ভিন্নধর্মী একটি গ্রন্থ। ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, নন্দিত উদ্ভাবন’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করেছে রংধনু প্রকাশনী। গতকাল বুধবার বিকেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা যখন জেল খাটছিলেন তখন আমিও জেল খাটছিলাম। বঙ্গবন্ধুর খুবই স্নেহভাজন ছিলাম। তাঁর পাশে ছায়ার মতো থাকতাম। তাঁর মতো বিশাল হৃদয়ের মানুষ আমি দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ’
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি অসীম সাহা ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কাশেম হুমায়ূন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বইটির লেখক ও সংকলক মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন রংধনু প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী শিল্পী মাসুম রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ বই ও উদ্যোগের বিপুল প্রশংসা করেন।
এইচ টি ইমাম আরো বলেন, কোমল হৃদয়ের মানুষ বঙ্গবন্ধু চরম শত্রুকেও ক্ষমা করে দিতেন। শত্রুদের ক্ষমা করলেও যুদ্ধাপরাধীদের তিনি কখনো ক্ষমা করেননি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ’৭৫-এ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি জেলে ছিলাম। তখন যুদ্ধাপরাধীরাও আমার সঙ্গে জেলে ছিল। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে আমাকে জেলে আটকে রাখেন। এরপর থেকেই ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে। ’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বইটির উদ্যোক্তা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন, স্বপ্নের সফল রূপকার ছিলেন। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছেন। তিনি আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে আমি হয়তো একজন ব্যাংকার হিসেবে এত বড় পদে আসীন হতে পারতাম না। ’
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, মৌলভীবাজারের অগ্রণী ব্যাংকে ছোট্ট পরিসরে বঙ্গবন্ধু কর্নারের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। পরে আনসার-ভিডিপি ব্যাংক হয়ে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু কর্নার চালু হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস